ডেস্ক রিপোর্ট : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম সরকারই উদঘাটন করেছে, অন্য কেউ নয়। বিএনপিও এ নিয়ে আগে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।মন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। ‘সরকারের মদদে রিজেন্টের অনিয়ম’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি সংস্থা নিজ উদ্যোগেই ঢাকায় রিজেন্ট হাসপাতালের দু’টি শাখায় অভিযান চালিয়েছে ও মামলা করেছে, গণমাধ্যমের কোনো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়। এরপর এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই।মন্ত্রী বলেন, পত্রপত্রিকার রিপোর্টে দেখা গেছে, সাহেদ করিম বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর দু’বছর জেলেও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী কয়েক মাস আগেও যুবদলের নেতাকে সামনে রেখে সাহেদ যখন তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপেতে কথা বলেন, তখন সেটি কাদের মদদে ঘটে, মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখেন ড. হাছান।তিনি বলেন, সাহেদকে যারা টক শো’তে সুযোগ দিয়েছিলেন তাদেরও দায় রয়েছে, কারণ সে টক শো’কে প্রতারণার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো।তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাহেদ প্রতারণার কাজে কখনো নিজেকে মেজর, কর্নেল, আওয়ামী নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমন নানা পরিচয় দিয়েছেন, এসব পরিচয় সত্য নয়।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি, তিনি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে ছিলেন না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন- দুর্নীতিবাজদের পরিচয়-বর্ণ যাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারই অংশ হিসেবে সাহেদ ও এমন আরও প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।বাংলাদেশের বিমানকে ‘করোনা বোমা’ বলা হচ্ছে- ইতালি থেকে বাংলাদেশি যাত্রীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজভী সাহেবের এ বক্তব্য বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যায়।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বের কোনো দেশেই করোনার কারণে বিমান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি, বাংলাদেশও করোনা আক্রান্ত বলে মনে হওয়ায় বিদেশি যাত্রীদের ফেরত পাঠিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ও দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য রিজভীর প্রতি আহ্বান জানান।ড. হাছান এ সময় প্রবীণ রাজনীতিক সাহারা খাতুনের মৃত্যুকে দেশের রাজনীতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন। ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করা হলে তার মুক্তির জন্য আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ে তিনি ওতোপ্রোতোভাবে ভূমিকা রাখেন। আওয়ামী লীগের সব দুঃসময়ে তিনি বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, অনেকবার কারাবরণ করেছেন।তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দেশের রাজনীতিতে বণিকায়ণ ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার নেতা সাহারা খাতুনের মৃত্যু আওয়ামী লীগ তথা দেশের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।